তাড়াশে সুফলভোগী পুকুর নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ
তাড়াশ সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধ তাড়াশে সুফলভোগী পুকুর নিয়ে দু'পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ আহত প্রকাশিত হয়েছে-  সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সুফলভোগী পুকুরের সদস্য করা নিয়ে দু'পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০জন আহত হয়েছে। শনিবার (৩১মে) দুপুরে তাড়াশ পৌর সদরের ভাঁদাশ গ্রামের পশ্চিম পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক ও ভাদাশ পশ্চিম পাড়ার সোহাগ হোসেনের গ্রপের মনিরুল ইসলাম (৩৫), আলহাজ আলী (৩৫), জোবায়ের হোসেন (২৭), মামুন হোসেন (২৭) ও খয়বর আলী (৪৫)। অপরদিকে, মাসুদ রানা ফকির (৩২) ও লিমন হোসেন (২৫) সহ উভয় পক্ষের ১০জন আহত হয়েছেন। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে তাড়াশ ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করেন। স্থানীয়রা ও পুলিশ জানায়, তাড়াশ পৌর সদরের ভাদাশ পশ্চিমপাড়ায় অবস্থিত নিমগাছী সমাজ ভিত্তিক মৎস্যচাষ প্রকল্পের আওতায় ঝিনাইপুকুর ও মাইঠাল দিঘী নামে দুটি পুকুর রয়েছে। সেই পুকুরের ভুমিহীন ও পুকুরপাড়ের বাসিন্দাদের নিয়ে ভাদাশ পশ্চিম পাড়ার সোহাগ হোসেন একটি সুফলভোগীদের তালিকা তৈরি করে উপজেলা মৎস্য অফিসে জমা দেন। অপরদিকে, মাসুদ রানা তার লোকজন নিয়ে একটি তালিকা জমা দেন। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। একপর্যায়ে শনিবার সকাল ১০টার দিকে দুপক্ষের ধস্তাধস্তি হয়। পরে দুপুর ২টার দিকে উভয়পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। এতে দুপক্ষের কমপক্ষের ১০ আহত হয়। সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক ও ভাদাশ পশ্চিম পাড়ার সোহাগ হোসেন বলেন, আমরা ভুমিহীন ও পুকুরপাড়ের লোকজন নিয়ে সদস্য করে ২ মাস যাবত ভোগ দখল করছি। কিন্তু আজ মাসুদ গ্রপের লোকজন আমাদের পূর্বপরিকল্পিতভাবে অর্তকিত হামলা চালিয়েছে। অপরদিকে মাসুদ রানা বলেন, তারা আমাদের অন্যায়ভাবে মারধর করে আহত করেছে। এ বিষয়ে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব। তাড়াশ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।